[কোন এক রাতে গুমোট থেকে মেঘলা পেরিয়ে দারুণ বৃষ্টি হয়েছিল শেষকালে, ভোরের দিকে... আমরা জেগেছিলাম... আর একটানা লেখা হয়েছিল কিছু পাগলামির এস.এম.এস... তাই দিলাম, একটুও বদল না করে...]
তুইঃ
সারাটারাত কার নামে যে গা ধোয়ালো?
বৃষ্টিভেজা আকাশ দিলো ডাইরি পাতায়...
আমার কেমন বাঁধ মানে না ইচ্ছেগুলো...
স্বপ্ন বেছে আটকে রাখি নকশিকাঁথায়...
আমিঃ
এমনি করে কার পায়ে তুই ঝড় লুটিয়ে
মল পরালি? ঘুম ছুটিয়ে
কার সে হাতের রাখলি পরশ বুকপকেটে?
প্রাচীন যত ছন্দ কেটে আঁকলি খাতায় পাতাবাহার...?
নামখানি তার বল্ না আমায়... নামখানি তার...
তুইঃ
ইচ্ছেপরাগ ঘুম ভুলে যায় তার পরশে,
নাম কি দেবো...! বকুলকথা...? নয়ানজুলি...?
সাবধানী’রা মানচিত্রের হিসেব কশে,
আর আমি এক... ভাঁটার টানে উজান ভুলি...
আমিঃ
তোদের কত গল্প থাকে সাগরপারের...!
উজান বাতাস আমার হাতের ইচ্ছেপালক...
আমার ফোনের মনখারাপি স্ক্রিনসেভারে
সেই তো ভাসায় ঘোর সেপিয়ায় সুতীব্র চোখ...
তুইঃ
রাত ফুরিয়ে ঠিক যবে সেই চৈতালি ভোর
দ্যাখ খুলে দ্যাখ মুঠোর ভেতর তোর’ও আকাশ,
সাগর রঙের স্বপ্ন আছে তোর আঁচলেও
ইচ্ছে করেই ভুল করে দ্যাখ... এই অবকাশ...!
আমিঃ
ধুর ! তুমি ছাই কিচ্ছু বুঝলে না কো...
‘ভুলপুরানে’র ছবিই খালি আঁকো...!
রোদ পড়েছে আমার ঠোঁটের কোণে...
বৃষ্টি-আকাশ আমার তমাল বনের...
তুইঃ
ঠিক বলেছিস... বুঝতে আমি চাই না কিছু
নিঝুম দুপুর... ছাদ-রেলিঙে আকাশ নিচু...
তুমিই বল, কি লাভ মেলে একলা বেঁচে?
কাকতাড়ুয়া একা-একাই বৃষ্টি ভেজে...
বড্ড ক্লিশে একটা চাঁদের ওলোটপালোট,
কালোয় মিশে বড্ড কাঁদায় আপোশবাণী
মন’টা বোকা... রাতের কাছে খেয়েছে চোট...
বাসি খাটে মুখ গুঁজে হয় কানাকানিই...
আমিঃ
সমুদ্রনীল বাতাস আসে আমার পাড়ায় সে সব রাতে...
যখন তুমি আপোশ শোনো... প্লাবন শুনি বৃষ্টিপাতে!
যাবি তো চল্... চোট ভুলে একছুট্টে ঝড়ের অন্তরীপে,
আলো জ্বলুক... আলো নিভুক... আমার হাতের জোনাক-দীপে...
তুইঃ
চল না খেলি দু'জন তবে নতুন খেলা?
আলোর ঘরের নিশান খোঁজা সমুদ্দুরে?
পুকুরজলে পা ডোবানোর স্বপ্নভেলা
ভাসিয়ে দিই চল্ গাঙ-মোহনার উথাল জুড়ে...
আমিঃ
আমার কথাও রাখলে তবে খেলতে পারি
বাঁচার খেলায় ভাগাভাগি মানলে, তবে...
অন্ধকারে সমান হবে অংশিদারী
আগুনব্যথার আদ্ধেকটাও আমার হবে...
আয়না ভাঙা কাচের গুঁড়ো... তাও দুজনের...
নিয়মগুলো তোর আর আমার আধাআধি...
স্বপ্ন পেলেও ভাগ হবে তা চারটি চোখে
রাজি তো চল্, নতুন খেলার মন্ত্র ফাঁদি...