কত
কি লিখিস তুই...! আমি অত পারিনা...!
লিখতে
কি আর ইচ্ছে করে না,বল?
যখন চুপের ঘোরে,আলতো করে ঘুমায়
নদীর পাড়...
যখন ঘুমের ধূয়া রাত-মহুয়া
প্রলাপ বকে তার...
সত্যি বলছি,খুব লিখতে ইচ্ছে
করে... কিন্তু আমি যে অত পারিনা!!
তুই
কিন্তু খুব পারিস... ইচ্ছে হলেই ক’টা শব্দ দিয়ে রঙ তুলি বানিয়ে নিয়ে যা
খুশি তাই লিখে ফেলতে...
আকাশ ভর্তি করে বিষাদের উল
ছড়িয়ে আমি ফাঁকা ছাদে একা বসে সোয়েটার বুনি......আর তুই...?
তুই তখন রঙ লিখিস,গন্ধ লিখিস,গদ্য লিখিস,ছন্দ লিখিস... আকাশভরা মেঘের ঢল লিখিস...
চুঁইয়ে-পড়া বৃষ্টির জল লিখিস...
বেগনি রঙের ধুতরো লিখিস... ভাঙা চুড়ির টুকরো লিখিস...
গলা-জড়ানো রাত লিখিস... সন্ধ্যের সওগাত লিখিস...
আর
আমি দেখি... শুধু দেখি... সব অনুভব কথা ভুলে যায় নিমেষে... বুনতে বুনতে ঘর ভুল হয়ে
যায়...!! কত কি যে ভাবি...?
সেসব আর বলাই হয় না তোকে!
ভাবি বলবো,একদিন যদি একটা
গল্প লিখিস তুই... বেশ হবে তাহলে! নীলচে সবুজ রঙের গল্প একটা...?!
মনভোলানো
যত্ন নিয়ে... ভোররাত্রের স্বপ্ন নিয়ে...
আধেকটা ঢেউ ডানায় নিয়ে...তোকে
নিয়ে আর আমায় নিয়ে...?!
বেশ হবে তাহলে!
বেশি বড় না; ছোটগল্পই লিখিস,
কেমন...?
কোথায় শুরু আর কোথায় শেষ,কেউ ধরতেই পারবে না...! দিব্বি চলবে শনশনিয়ে... আগুন জ্বলবে,শিশির পড়বে,শুকনো পাতাও খুব ঝরবে... প্রতি শব্দে
হাজার-রঙের ফুল ফুটবে অগুনতি... পড়বে যখন বৃষ্টি তখন ভিজিয়ে দেবে ঝমঝমিয়ে...!!
বেশ হবে!!
কিন্তু কেমন করে শেষ হবে...?
তখন ভাবি জিগেস করবো তোকে,একেবারে
শেষটুকুর জন্যে আমার একটা কবিতা নিবি রে?
কে জানে কত বছর ধরে,অনেক অনেক চেষ্টা করে, এই একটা মাত্র কবিতা লিখেছি...
তার চারটে মাত্র লাইন,
........ ঊষরবেলায় ধূসর মেঘের
মিহিরঙ দিয়ে দিয়ে
আমি সোনালি গোধূলি পথ এঁকে নিতে পারি;
........ একবার ছুঁয়ে দ্যাখ আজ ওই কাঁটাতারটা পেরিয়ে
আমি হাত ধরে তোর মাঝনদীতে ফেরারি!!
নিবি...?